শুক্রবার, ১৯ জুলাই, ২০১৩

বিজ্ঞানের পেয়ালা থেকে প্রথম চুমুক নাস্তিকতা নিয়ে আসে


মার্চ 28, 2013
প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের(জীববিজ্ঞান,রসায়ন,পদার্থ ইত্যাদি) পেয়ালা থেকে প্রথম চুমুক নাস্তিকতা নিয়ে আসলেও, এর তলদেশে স্রষ্টা অপেক্ষমান- Werner Heisenberg বিজ্ঞানের জ্ঞানের স্বল্পতা নাস্তিকদের নাস্তিকতার পথে নিয়ে আসে। তারা বিজ্ঞানের পৃষ্ঠে হাবুডুবু খায় কিন্তু এর অন্তঃস্থলের ভান্ডারকে উপলব্ধি করতে কিংবা জানতে চেষ্টা করে না। তারা অনেকে অপবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান হিসেবে গ্রহন করে ধোঁকায় পতিত হয়। Theory of Evolution কে নিয়ে তাদের বাড়াবাড়ির সীমা নেই। অথচ অনেক বিজ্ঞানী একে পুরোপুরি Reject করেছেন। এটা কোন প্রতিষ্ঠিত সত্য নয়। আর বিজ্ঞানী Coley বলেছেন, “Science is the statement of truth found out.” অর্থাৎ সত্যই একমাত্র বিজ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।বিবর্তনবাদের মত hypothesis তো বিজ্ঞানের চৌসীমানায় ও আসে না।

নাস্তিকতার কারন সন্ধানে….
লেখক: মুজাহিদ রাসেল
স্রষ্টা এ পৃথিবীতে মানুষকে অতি গুরুত্বপূর্ণ, যৌক্তিক স্বাধীনতা দিয়ে পাঠিয়েছেন। স্রষ্টাকে গ্রহন এবং বর্জনের স্বাধীনতা।
আল্লাহ বলেন, আমি তাকে(মানুষকে) পথ দেখিয়ে দিয়েছি। এখন সে হয় কৃতজ্ঞ হয়, না হয় অকৃতজ্ঞ হয়।সুরা দাহর-৩
বলুনঃ সত্য তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে আগত। অতএব, যার ইচ্ছা, বিশ্বাস স্থাপন করুক এবং যার ইচ্ছা অমান্য করুক”-সুরা কাহাফ-২৯
অনেক মানুষ সৃষ্টিকর্তাকে গ্রহন করে, আর অনেকে বর্জন করে। যারা গ্রহন করে তাদের মধ্যেও অনেকে আছে যারা ভূলভাবে গ্রহন করে। আর যারা বর্জন করে তাদের ইংরেজিতে Atheist বলে আর বাংলায় বলে নাস্তিক।ইদানিং আবার দেখলাম তারা নিজেদের মুক্তমনা”(!?) দাবি করা শুরু করছে।
কালের বিভিন্ন সময়ে অনেক মানুষ স্রষ্টাকে অস্বীকার করেছে। Bertrand Russell শুরু করে অনেক Philosopher ঈশ্বরে অবিশ্বাস করেছে বললেও Plato, Socrates এর মত অনেক Great Philosopher ই ঈশ্বরে বিশ্বাসী ছিল।মুক্তমনা (?!) নাস্তিকরা dawkins নিয়ে চিল্লাচিল্লি করে গলার রগ চিড়ে ফেললেও নিউটন,ম্যক্স প্ল্যাংকের মত অনেক বিজ্ঞানীই স্রষ্টাবিশ্বাসী ছিলেন। আজকাল আমাদের দেশের মুক্তমনা (?!), তথাকথিত বুদ্ধিজীবি (?!) সম্প্রদায় প্রবীর ঘোষ, আরজ আলী মাতাব্বুর কিংবা আহমদ শরীফের দু চারটা Quotation দিয়েই ঈশ্বরকে ভুল প্রমানে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।অথচ অনেক দার্শনিক এবং বিজ্ঞানীও আছেন যারা তাদের এসব চিন্তা চেতনাকে আবালীপনা হিসেবে চিহ্নিত করে গেছেন।আচ্ছা মানুষ নাস্তিক কেন হয়? আমি আমার ছোট দাওয়াতী জীবনে অনেক নাস্তিকের সাথে সরাসরি কিংবা ইন্টারনেটে আলাপ করেছি। এ সকল নাস্তিকদের কথাবার্তা শুনে আমি নাস্তিক হওয়ার কিছু কারন খুঁজে পেয়েছি। আমি পাঠকদের সাথে কারনগুলো Share করছি। আশা করি এর পর থেকে কোন নাস্তিকদের সাথে পাঠকদের deal করতে সুবিধা হবে………
প্রথম কারনঃ একজন খুব সুন্দর করে বলেছেন-
চোর যে কারনে পুলিশকে খুঁজে পায় না একই কারনে নাস্তিকরা স্রষ্টাকে খুঁজে পায় না
আমার মনে আছে আমি যখন স্কুলে পড়তাম তখন স্যারেরা অনেক সময় অফিসে বেত আনতে পাঠাত। আমরা দেখেও না দেখার ভান করে চরে এসে স্যারকে বলতাম স্যার বেত নাই।বেত পেলে তার Consequence তো আমরা খুব ভালভাবে উপলব্ধি করতে পারতাম। নাস্তিকরাও আল্লাহকে খুঁজে পায় না এই ভয়ে যে, তাদের পাপ কাজের হিসাব তাদেরকে দিতে হবে।
দ্বিতীয় কারনঃ Francis Bacon-
এটা সত্য যে জীবনদর্শন সম্পর্কে ক্ষুদ্র জ্ঞান মানুষের মনকে নাস্তিকদের দিকে ঝুঁকে দেয়,কিন্তু দর্শনের গভীর জ্ঞান মানুষের মনকে ধর্মের দিকে নিয়ে আসে।“(১)
দর্শনশাস্ত্রের জ্ঞানের স্বল্পতার কারনে মূলত তারা এ জীবনের দর্শনকে উপলব্ধি করতে পারে না। উপলব্ধি করতে পারে না তাদের জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।বিবর্তনবাদ অনুযায়ী মানুষের জীবনের উদ্দেশ্য হচ্ছে বংশ পরম্ভরা রক্ষা করা।হাউ ফানি!এমন স্পল্প জীবন দর্শন নিয়ে তারা নিজেকে এবং মানবতাকে কি দিতে পারবে তা প্রশ্নবিদ্ধ**, স্বল্প জীবনদর্শন সম্পন্ন মানুষ যেমন জীবন সাগরে হাতড়াতে থাকে কিন্তু কোন কুলকিনারা পায় না, তেমনি স্বল্প জীবনদর্শন সস্পন্ন নাস্তিকেরাও তাদের এ জীবনের কোন কিনারা পায় না। জীবনকে স্বল্প পরিসরে চিন্তা এবং স্বল্প জ্ঞানের উপর ভর করেই চিন্তার কারনে নাস্তিকেরা স্রষ্টায় অবিশ্বা্সীতে পরিনত হয়।
তৃতীয় কারনঃ Werner Heisenberg বলেছেন-
প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের(জীববিজ্ঞান,রসায়ন,পদার্থ ইত্যাদি) পেয়ালা থেকে প্রথম চুমুক নাস্তিকতা নিয়ে আসলেও, এর তলদেশে স্রষ্টা অপেক্ষমান
বিজ্ঞানের জ্ঞানের স্বল্পতা নাস্তিকদের নাস্তিকতার পথে নিয়ে আসে। তারা বিজ্ঞানের পৃষ্ঠে হাবুডুবু খায় কিন্তু এর অন্তঃস্থলের ভান্ডারকে উপলব্ধি করতে কিংবা জানতে চেষ্টা করে না। তারা অনেকে অপবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান হিসেবে গ্রহন করে ধোঁকায় পতিত হয়। Theory of Evolution কে নিয়ে তাদের বাড়াবাড়ির সীমা নেই। অথচ অনেক বিজ্ঞানী একে পুরোপুরি Reject করেছেন। এটা কোন প্রতিষ্ঠিত সত্য নয়। আর বিজ্ঞানী Coley বলেছেন, “Science is the statement of truth found out.” অর্থাৎ সত্যই একমাত্র বিজ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।বিবর্তনবাদের মত hypothesis তো বিজ্ঞানের চৌসীমানায় ও আসে না।
তাই এটি অপবিজ্ঞান ছাড়া আর কিছুই নয়।
চতুর্থ কারনঃআল্লাহ কোরানে বলেছেন-
তারা অন্যায় ও অহংকার করে নিদর্শনাবলীকে প্রত্যাখ্যান করল, যদিও তাদের অন্তর এগুলো সত্য বলে বিশ্বাস করেছিল’,সুরা নামল-১৪
আল্লাহ ঠিকই বলেছেন তাদের অন্তর যদিও ইসলামকে মেনে নেয় কিন্তু তারা অন্যায় ও অহংকার বশত আল্লাহকে অস্বীকার করে। তারা যখন দেখে ইসলাম গ্রহন করলে তাদের alcohol ছাড়তে হবে, Free sex কে বলতে হবে No, Homo sexuality কে বলতে হবে No, অনেক Atheist রা হয়ত এখন বলবেন নাস্তিকতা মানেই কি alcoholism, Free sex, Homo sexuality. আমার অনুরোধ নাস্তিকদের বই, প্রবন্ধ পড়লেই এ সকল জিনিসকে স্বাধীনতা আর প্রাকৃতিকরনের নামে হালালীকরন, খুব ভালভাবেই উপলব্ধি করতে পারবেন। স্রষ্টাকে বিশ্বাস করে নেয়ার মানেই হচ্ছে মনের প্রবৃত্তিকে দমন করতে হবে। আর এই জিনিসটিই স্রষ্টা বিশ্বাসের পথে নাস্তিকদের কাছে এক বিরাট বাধা।
Exceptional(কিন্তু বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন)ঃ
বর্তমানে কিছু নাস্তিকের আর্বিভাব ঘটেছে, যাদের মধ্যে এসব কিছুর উপস্থিতি তো থাকেই সাথে সাথে আরেকটি জিনিস তাদের উপর dominating থাকে তা হল ভাব”,এটা এখন একটি ফ্যাশনে পরিনত হয়েছে। ফেসবুকে religious views atheist শব্দটি আজকাল প্রগতিশীলতার নির্ণায়ক। কথায় কথায় ধর্মকে গালি দেয়া, ধর্মপ্রচারকারীদের গালি দেয়া আজ Smartness এর পরিচায়ক। গলা উঁচু করে ধর্মের শৃঙ্খলা ভাঙ্গার কথা বলা মানে বুদ্ধিজীবি (?!), মুক্তমনা (?!) তকমার দিকে কয়েক ধাপ এগিয়ে যাওয়া।
ইদানিং আর কিছু লোক আছে যারা দেখে যে, পশ্চিমারা জ্ঞান-বিজ্ঞানে এগিয়ে গেছে এবং তারা আস্তে Materialist Philosophy কে পুরোপুরি আত্তীকরনে সফল হয়েছে। তখন এরা ভাবা শুরু করে আহা ! আমিও যদি স্রষ্টা অবিশ্বাসের মাধ্যমে Materialistic Philosophy কে পুরোপুরি মেনে নিতে পারি তাহলে আমিও হয়ত তাদের মত উন্নত জীবন যাপন করতে পারব। এক্ষেত্রে দুটি বিষয় লক্ষনীয়-
(১) পশ্চিমারা জ্ঞান-বিজ্ঞানে উন্নত হয়েছে এটা সত্য কিন্ত এটাও সত্য এ বিজ্ঞান তাদের বেগ দিলেও আবেগ নিয়ে ফেলেছে, motion দিলেও তাদের থেকে emotion নিয়ে ফেলেছে। তাইতো আমরা দেখি তাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে নৈতিক অবক্ষয়। সেখানে মানবতা আর নৈতিকতা চোখ লুকিয়ে কাঁদে।
(২) পশ্চিমারা কি Materialistic Philosophy গ্রহনের কারনে উন্নত নাকি অন্য কারনে? এ কথাও আমাদেরকে গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে। মনে রাখতে হবে-
#
রবীন্দ্রনাথ স্কুল পালানোর জন্য রবীন্দ্রনাথ হননি।
#
ডেভিড বেকহ্যাম তার চুলের কারনে বিশ্বসেরা খেলোয়াড় হননি,
#
সালমান খান তার ছেড়া প্যান্টের জন্য ভাল অভিনেতা হননি।
আমরা কাউকে Icon মানলে যে কারনে সে Icon হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে সে কারনটাকে দেখি আশেপাশের কারনকে নয়।
তাই আমাদের জীবন দর্শনের হয়ত অনেক কিছুই স্রষ্টাবিহীন অস্পষ্ট থেকে যাবে। জীবন দর্শন পুরোপুরি বুঝার জন্য স্রষ্টার কোন বিকল্প নেই। Spinoza ঠিকই বলেছেন।
স্রষ্টব্যতীত কোন কিছুর কল্পনাই করা যায় না”(২)
সর্বশেষ একটি moto দিয়ে আমার লেখাটি শেষ করতে চাই-
No creation Know creation
No life Know life
No God Know God
No peace Know peace
Allah knows the best…………
Footnotes
,(Bacon, F. The Essays of Lord Bacon, Longman & Green, 1875, 64.)
,(Elwes, R. H. M. The Chief Works of Benedict de Spinoza, Vol. II,Dover Publications, 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন